রান্নাঘরের একটি উপাদান হলো পোস্তদানা। সবাই মশলা হিসেবেই এর ব্যবহার করে থাকে। আলু পোস্ত হোক বা পোস্তর বড়া, রুই পোস্ত হোক বা গরম ভাতে পোস্ত বাটা, পোস্তর যেকোনো রেসিপি সবারই পছন্দের।
খুদে এই দানাগুলো শ’রীরের জন্য কতটা উপকারী তা অনেকেরই অজা’না। অনেক চিকি’ৎসকও পোস্ত খাওয়ার কথা বলেন। পোস্ততে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, ও প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ থাকে।
তবে জে’নে নিন পোস্ত আমাদের স্বা’স্থ্যের কী কী উপকার করে –কাশি কমাতে ও শ্বা’সকষ্টজনিত স’মস্যায় পোস্ত বেশ উপকারী। এক চামচ মধু, এক চামচ পোস্ত নারকেলের দুধের স’ঙ্গে মিশিয়ে রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে খান, শুকনো কাশি কমে যাবে।
কিডনি পাথর চিকিৎ’সার জন্যও পোস্ত খাওয়া হয়। এতে পাওয়া অক্সলেটস, দে’হে উপস্থিত অতিরি’ক্ত ক্যালসিয়াম শোষণ করে এবং কিডনিতে পাথর তৈরি হতে বা’ধা দেয়।পেশীর ব্য’থা উপশম করে পোস্ত সমস্ত ধ’রনের ব্য’থা উপশম করে।
বিশেষত, এটি পেশীর ব্য’থা কমাতে পরিচিত। পোস্তর তেলও বাজারে পাওয়া যায়, যা ব্য’থায় ব্যবহৃত হয়। এতে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকার কারণে, এটি হাড়ের স্বা’স্থ্যও ভালো রাখে।
স্বা’স্থ্যের পাশাপাশি পোস্ত ত্বকের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা ত্বকের শুষ্কভাব দূ’র করে এবং ত্বককে আর্দ্র রাখে।
এছাড়াও এটি ত্বকের জ্বা’লা এবং চুলকানি কমায়।যদি আপনার ঘুমের স’মস্যা হয়, তবে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পোস্ত দেয়া চা খেলে উপকার পাবেন।
এটি অনিদ্রা দূ’র করে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মু’ক্তি দেয় পোস্ততে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মু’ক্তি দেয়। এটি আমাদের হজ’ম ক্ষ’মতা উন্নতিতেও সহায়তা করে।সূত্র: বোল্ডস্কাই