প্রত্যেক মে’য়েই বিয়ের পর শুরু ক’রতে চায় এক নতুন অধ্যায়। কারণ সব মে’য়ের মনেই বিয়ে জুরে থাকে অনেক স্বপ্ন, আশা ও আকাঙ্কা। এটা আ’লাদা ব্যাপার যে সে যেটা চায় সেটা সবসময় পেয়ে ওঠা হয় না।
বিয়ের পর ঝুট ঝ্যামেলা তো লে’গেই থাকে। ঝ’গড়া, অশান্তি সব সংসারেই চলে। সব কিছু নিয়েই চলতে হয় একটি মে’য়েকে। তার ও’পর যদি তার স্বামি তাকে সেইরকম সময় না দেয় তাহলে তো হয়েই গেলো।
এইরকম সময় একটি মে’য়ের নিজেকে খুবই একা মনে হয়। তার মনে হয় যে এই পৃথিবীতে তার থেকে দুর্ভাগ্যবতী ম’হিলা আর কেউ নেই। বিভিন্ন প্রশ্ন উকি মা’রে তাদের একলা মনে। আর তাদের এই প্রশ্ন গুলো আসাটাও স্বা’ভাবিকয়।
তবে এটাও জে’নে নেওয়া দরকার যে কিরকম প্রশ্ন করলে তাদের মনের ও’পর প্র’ভাব পড়তে পারে বা কোন প্রশ্ন গুলো তাদের মনে দুঃখ দিতে পারে। একটি সদ্য বিবা’হিত ম’হিলাকে কক্ষনই এই প্রশ্ন গু’লি করা উচিৎ না। জে’নে নিন সেগু’লি কি কি –
অনেকদিন তো হল বিয়ে করেছো, বাচ্ছা কবে নিচ্ছ ? এই প্রশ্নটিও কিন্তু তাদের মনে আ’ঘাত পৌঁছানর জন্য যথেষ্ট। এতে মটেই খুশি হয় না একটা সদ্য বিবা’হিত মে’য়ে।
তারপর এমন কিছু মুহুরত আসে যখন কেউ জিগেস করে বিয়ের পর অনুভুতি কেমন ? মে’য়েটি কি বলবে কি না বলবে তা না ভেবে পেয়ে বোকার মত তাকিয়ে থাকে। তাছাড়া সে করবেটাই বা কি।
তারপর যদি কেউ বলে যে অনেক বদলে গেছ তুমি। আরে এটাই তো স্বা’ভাবিক ব্যাপার। বিয়ের পর একটা নয়, একটি মে’য়েকে তিনটি সংসারের ভার নিতে হয়। ফলে বাড়ে দায়িত্ব বোধ। তো সেই ক্ষেত্রে বদলে যাওয়াটাই তো স্বা’ভাবিক ব্যাপার। তাই না ?
অনেকেই বিয়ের পর স্বা’মীর পদবি নিজে’র নামের সাথে যোগ করে না। তখনই অনেকে তাদের প্রশ্ন করে থাকে যে নাম পরিবর্তন করছও না কেন ? কেন ভাই বিয়ের পর যে
নাম পরিবর্তন ক’রতে হবে এটা কোন বইতে লেখা আছে ? এসব প্রশ্ন করার কি আদৌ কোন দরকার আছে।
তারপর আর একটি প্রশ্ন খুব বেশি শোনা যায় আজকাল। নিজেদের ফ্ল্যাট নিচ্ছ না কেন ? সব সংসারেই এখন খরচা বেশি। টাকা জমানোটা আজকাল হয়ে উঠেছে দুষ্কর। কখনো কখনো মনে হয় জিজ্ঞাসা করি দাদা টাকা’টা কি আপনি দিয়ে যাবেন।